Wednesday, April 23, 2025

রিযিক বন্ধের যাদুর লক্ষন:-


💔
প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রিযিক থাকবেই।যেমনটা আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছে আমার উম্মতের অধিকাংশ মানুষ মারা যাবে নজরের কারনে...
👉
এখানে মার যাবেই..(এটা যেমন সত্যি তেমনি..পাশাপাশি সমস্যা থেকে বাঁচার সলিউশন দিয়ে দেওয়া হয়েছে রুকইয়াহ এর মাধ্যমে)
💔
-তেমনি রিযিক বন্ধের যাদু করলে..এর মানে এই না যে,সে রিযিক পাবে না রিযিক পাবে..কিন্তু যাদুর কারনে যেই সমস্যা গুলো হয় সেগুলকেই মূলত রিযিক বন্ধের যাদু বলা হয় নিচে দেওয়া হলো:-
💔
১.কাজ করতে গেলে হাত কাঁপাকাপি করা/পা,মাথা,বুক,শরীর কাঁপা-কাঁপি করা।..(যা পূর্বে ছিল না)
💔
২.কাজ করতে গেলে কনসেনট্রেশান না থাকা,মনোযোগ না থাকা,গভীর মনোযোগ না থাকা..(যেটা পূর্বে সুস্থ অবস্থায় ছিল নাল
💔
৩.ক্লাইন্টদের সাথে কথা বললে মাথা ভার হয়ে যাওয়া,রেগে যাওয়া,মাথা ব্যথা করা,।.(যেটা সুস্থ অবস্থায় ছিল না)
💔
৪.কাজ করতে গেলে অলসতা,ধৈর্যহীনতা,ফোকাস করতে না পারা,ডিপ্রেশনে পড়ে যাওয়া,(যেটা সুস্থ অবস্থায় ছিল না)
💔
৫.কাজ করতে গেলে ভালো না লাগা,ডিপ্রেশনে ভুগা,শরীর ভার হয়ে যাওয়া, কাজে যেতে মন চাপয়া..(যেটা সুস্থ অবস্থায় ছিল না)
💔
৬.কাজ করতে গেলে অস্তিরতা,বুক চেপে আসা,রগে টান খাওয়া,মাথায় চিড়িক মারা,। (যা পূর্বে ছিল না)
💔
৭.কাজ করতে গেলে ভয় পাওয়া/ক্লাইন্টের সাথে কথা বললে প্যানিকের মত হয়ে যাওয়া।..(যেটা পূর্বে ছিল না)
💔
৮.কাজ করতে গেলে শারীরিক দিক থেকে জ্বালাপোড়া, জ্বর হওয়া,অসুস্থ হয়ে যাওয়া।এরকম শারীরিক ও মানসিক যত সমস্যা ফেইস করবেন। শুধু নির্দিষ্ঠ কাজে ঢুকলেই.. তখন ওটাই হচ্ছে রিযিক বন্ধের যাদুর লক্ষন..
যেগুলোর প্রভাবে আপনি পূর্বের মত কাজ করতে পারতেছেন না.ফলে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন। দিনদিন প্রশস্তময় রিযিক কমে যাওয়ার পথে।
এবং যে জিন দ্বারা আক্রান্ত হবে তার সমস্যা দিনদিন শক্তিশালী হবে। দিনশেষে ঘরে পড়ে যাবে।
এখানে রিযিক বন্ধ বলতে রিযিক পাবে না বিষয়টা এমন এমন নয়। বরং.. [একটা রোগের কারনে/ব্লকেজের কারনে রোগী নিজে ইফোর্ট দিয়ে পূর্বের মত সুস্থ অবস্থা নিয়ে কাজ করা থেকে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে..যার ফলে রিযিকের সংকোচন বা কমতি দেখা যায়।
🔴
কারন একজন শিল্পপতি ব্যক্তি মেডিকেল এর ভয়ংকর রোগ(ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে সে কি পূর্বের মত কোটি কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবে?
উত্তর হচ্ছে না..রোগের কারনে ব্যক্তি নিজে ইফোর্ট দিয়ে পূর্বের মত আর কাজ করতে পারবে না।
🔴
তো সেইম রিযিক বন্ধের যাদুর বিষয়টাও হচ্ছে সেইম বিষয়। শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারনে রোগী বাঁধাগ্রস্থ দিনদিন মৃত্যুর দিকে যেতে থাকে।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বিচ্ছেদের জাদুর লক্ষণঃ

১। স্বামী বাইরে থাকলে ভালো থাকে; কিন্তু বাড়িতে প্রবেশ করলেই দুজনের কোন একজনের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

২। খুব বেশি সন্দেহপ্রবণ হয়ে যায়।
৩। ছোট ছোট বিষয়েও ছার দিতে চায়না, একটুতেই ঝগড়া বেধে যায়।
৪। স্ত্রী দেখতে যত সুন্দর ই হোক, স্বামীর কাছে খারাপ লাগে। স্ত্রী সাজগোজ করলেও স্বামীর বিরক্ত লাগে।
৫। স্বামীর ভালো কথাবার্তা বা সুন্দর আচরণ ও স্ত্রীর কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।
৬। স্বামীর ব্যবহৃত জিনিস বা বসার জায়গা স্ত্রী অপছন্দ করে।
৭। অন্যদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করলেও স্বামী স্ত্রী কথা বলতে গেলেই ঝামেলা বেধে যায়।
এরকম ঘটনা যদি সচরাচর ঘটতেই থাকে, তবে বুঝতে হবে কোন সমস্যা আছে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সব লক্ষ্মণ মিলবে ব্যাপার টা এমন নয়। তবে সমস্যা থাকলে অন্তত ২,৩ টি মিলে যাওয়ার কথা। আর সংগত কারণেই জিন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও মিলতে পারে।
এই জাদু বেশিরভাগ সময় জিন দিয়ে করা হয়। এজন্য এই জাদুর রুকইয়াহর ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে এবং কষ্ট ও হতে পারে। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হবে।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের জাদু করা হলে করণীয়ঃ
একটা বোতলে পানি নিয়ে সূরা বাকারাঃ ১০২, সূরা আ'রাফ ১১৭-১২২, সূরা ইউনুস ৮১-৮২, সূরা ত হা ৬৯ নম্বর আয়াত এবং সূরা ফালাক, নাস পড়ে ফুঁ দিন।
১। এই পানি প্রতিদিন দুইবেলা খাবেন।
২। প্রতিদিন গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। প্রতিদিন না পারলে অন্তত ২-৩ দিনে ১ দিন করবেন।
৩। সূরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জিন প্রতিদিন তিনবার করে তিলাওয়াত করবেন অথবা শুনবেন। কোন দিন সময় কম থাকলে একবার হলেও শুনবেন।
৪। আয়াতুল কুরসির রুকিয়া ( আয়াতুল কুরসির বারবার তিলাওয়াত করা অডিও) প্রতিদিন আধা ঘন্টা বা এর বেশি শুনবেন।
৫। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ থেকে ১০০ বার ইস্তিগফার এবং লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়বেন, আরো বেশি পড়তে পারলে আরো ভালো।
৬। রুকইয়াহ থেকে সম্পূর্ণ ফায়দা পেতে গান বাজনা সহ অন্যান্য কবিরা গুনাহ থেকে দূরে থাকবেন। নামাজ ওয়াক্তমতো আদায় করবেন। ফরজ ওয়াজিব ইবাদাতে যেন ত্রুটি না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।
৭। ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসি ও ঘুমের আগের অন্যান্য আমল, সকাল সন্ধ্যার মাসনুন দুয়া, সূরা ইখলাস, ফালাক , নাস নিয়মিত আমল করবেন।

জিনের মাধ্যমে যাদুগ্রস্থ হওয়ার লক্ষণ:

নিচে উল্লেখিত লক্ষণগুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে হয়তো আপনার সাথে থাকা জিনটি জাদুকর অথবা অন্য কোন জিন আপনাকে জাদু করে।

লক্ষণসমূহ:
১/-
মাঝে মাঝে স্বপ্নে খেতে দেখা।
২/-
স্বপ্নে অনেক মানুষ আপনার কাছে আসে অথবা আপনি অনেক মানুষের কাছে যান এবং তাদের সাথে কোনো সমস্যার সমাধান করেন।
৩/-
স্বপ্নে মাঝে মাঝে বিবাহ দেখা।
৪/-
হঠাৎ পরিচিত অথবা অপরিচিত ব্যক্তিদের ডাক শোনা। যেমন আপনি কোন পরিচিত অথবা অপরিচিত ব্যক্তির ডাক শুনেছেন যদি আপনি সেই ডাকে সাড়া দেন তাহলে বুঝে নিবেন নিঃসন্দেহে জিন আপনাকে যাদু করেছে।
৫/-
স্বপ্নে নিজেকে বিবাহ করতে দেখা।
৬/-
কোন নির্দিষ্ট টাইমে দুর্গন্ধ পাওয়া অথবা সুঘ্রাণ পাওয়া।
৭/-
ইচ্ছা অথবা অনিচ্ছায় কেউ আপনাকে কোন অপরিচিত জায়গায় অথবা মরুভূমিতে নিয়ে গেলো।
৮/-
বই-খাতা দেয়াল টেবিল ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় অদ্ভুত টাইপের লেখা দেখতে পাওয়া যা সাধারণত মানুষের পক্ষে লেখা সম্ভব না।
৯/-
স্বপ্নে কোন মাছ , হাঙ্গর অথবা অন্য কোন কিছুর উপরে বসে পানিতে নামা।
১০/-
জামাকাপড় চুরি হওয়া অথবা প্রাচুর্য সম্পদ টাকা পয়সা থেকে অল্প কিছু চুরি হওয়া।
১১/-
শরীরে মেহেদি পাওয়া অথবা স্বপ্নে মেহেদি দেখা।
১২/-
স্বপ্নে গির্জা ,মন্দির ভ্রমণ করা।
১৩/-
স্বপ্নে যদি আপনি নিজে কোন পশু জবাই করতে দেখেন অথবা আপনার জন্য জবাই করা হচ্ছে অথবা কবরস্থানে কিংবা মন্দিরের জবাই করা হচ্ছে এ ধরনের স্বপ্ন দেখলে নিশ্চিত ভাবে ধরে নিবেন যে জিন আপনাকে একের পর এক জাদু করতেই থাকে।
১৪/-
স্বপ্নে নক্ষত্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা।
১৫/-
প্রয়োজন ছাড়াই খাতার উপরে লেখা।
১৬/-
হাতের নখ কামড়ানো।
১৭/-
একধ্যানে বসে থাকা হঠাৎ কেউ ডাক দিলে অথবা খোঁচা দিলে লাফিয়ে ওঠা।
১৮/-
রুকইয়াহর সময় ছটফট করতে থাকা।
১৯/-
স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার স্বপ্ন দেখে।
২০/-
আয়নার সামনে গেলে কান্না আসে।
২১/-
বাথরুমে গেলে কান্না আসে এবং বাথরুমে প্রবেশ করলে দীর্ঘ টাইম চলে যাওয়ার পরেও বের হয়না।
জিন যদি কারো উপরে কঠিনভাবে জাদু করে তখন এই সিচুয়েশন দেখা যায়।
২৩/-
কোন কারন ছাড়াই নিয়মিত আসরের পরে ঘুমানো।

বাচ্চাদের কি জিন আক্রমন করে? কিভাবে বুঝবো আমার বাচ্চা জিন আক্রান্ত কি না?

একটা বাচ্চার প্যারানরমাল প্রবলেম হয় তার বাবা-মার গাফিলতির কারণে। হয়ত বাবা-মা আমলদার নয়, হয়ত যতটুকু আমলদার হবার কথা ছিল ততটুকু নয়, হয়ত ছোট থেকেই হারাম কোন তাবিজ লাগিয়ে দিয়েছে গায়ে, হয়ত বদনজর, জিন, জাদু থেকে নিজেকে এবং বাচ্চাকে বাঁচাতে যা যা করা দরকার সেগুলো করে না। এসব কারণেও সন্তান আক্রান্ত হতে পারে।

নিচে কিছু লক্ষন দেয়া হল। তবে পরিষ্কার করে বলতে চাই এসব লক্ষণের কিছু কিছু স্বাভাবিক হতে পারে। কাজেই কয়েকটা লক্ষন মিলে গেলেই নিজের বাচ্চাকে জিনের রোগী ভাবার কোনো কারণ নেই। সত্যিকারভাবে জানার একমাত্র উপায় হল রুকইয়াহ করা।
লক্ষনসমূহঃ
১। হুট করে অনিদ্রায় আক্রান্ত হওয়া বা ঘুমাতে ভয় পাওয়া
২। টয়েলেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা
৩। আয়নার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে থাকা
৪। শরীরে এখানে ওখানে ব্যথা করে – এমন অভিযোগ করবে
৫। ঘুম থেকে উঠলে মাথা ব্যথা করা
৬। একা একা উপরের ঘরে/নিজের ঘরে/এই ঘর থেকে ঐ ঘরে যেতে ভয় পাওয়া
৭। এমন কুরূচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলা যা একটি শিশুর ব্যক্তিত্বের সাথে মিলে না।
৮। স্বপ্নে সাপ, কুকুর, সিংহ অথবা অন্য কোন প্রানী বা মানুষ তাকে ধাওয়া করছে এমন দেখা।
৯। অদ্ভুত কাজকর্ম, ভুল-ভ্রান্তি করা এবং করতেই থাকা যেন কেউ তাকে উস্কে দিচ্ছে করার জন্য। সে জানে এটা করা উচিত না তবুও করবে।
১০। মসজিদের প্রতি ঘৃণা / ভয় সৃষ্টি হওয়া। কুরআনুল কারীমের সাথে বেয়াদবি করা।
১১। পা, হাটুর নিচের ফোলা গোশতে অথবা পেটে (রাতে) ব্যথা করে বলা
১২। জিন দেখতে পাওয়া
১৩। ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁতে পিষতে থাকা।
১৪। স্বপ্নে উপর থেকে পড়তে দেখা।
১৫। চোখের মণি মাঝে মাঝে বড় হয়ে যাওয়া। পুরো চোখ কালো হয়ে গিয়েছে এমন মনে হতে পারে।
১৬। কুরআনের অডিও শুনতে খুবই অপছন্দ করা।
১৭। প্রচন্ড রাগ এবং অস্বাভাবিক শক্তি।
১৮। একদম বালক বয়স থেকেই যৌনতা সম্পর্কিত চিন্তা/কার্জকলাপে আগ্রহ থাকা। যেমন, ৭/৮ বছর বয়স থেকে।
১৯। কাল্পনিক কোন বন্ধু-বান্ধব আছে এমন কথা বলা। তাদের নামও বলতে পারে।
২০। রাতের বেলা বাইরে যেতে চাওয়া এবং ঘরে ফিরতে অপছন্দ করা – যদিও বাহ্যিকভাবে এর কোনো কারণ নেই।
২১। আযান শুনলে ভয় পাওয়া।

ফেরেশতা হাজির করার আমল? নাকি শয়তান পুঁজা?

[ক]

আল্লাহ তা'আলা শিরকের ব্যাপারে অনেক কঠোর। স্বাভাবিক! একজন মানুষই তো তার ভালোবাসা, তার প্রভাব প্রতিপত্তিতে অন্যের ভাগ বসানো পছন্দ করবে না, আর আল্লাহর সুবহানাহু তা'আলা তো রাজাধিরাজ। আমাদের কল্পনাও যার নাগাল পেতে অক্ষম, কিভাবে সেই রাব্বুল আলামিনের ব্যপারে অংশিদারিত্ব সহ্য করা যায়?

“নিশ্চয় শিরক বিরাট বড় জুলুম” [সুরা লুকমান:১২]

[খ]

শিরকের ক্ষেত্রে এজন্য আল্লাহ তা’আলার শাস্তি অনেক ভয়াবহ। “নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করে দেন।” [সুরা নিসা:১১৬]

আমরা জানি ঈসা আ.কে যখন মানুষেরা কিয়ামত দিবসে আল্লাহর নিকট সুপারিশের জন্য বলবে, তিনি চিন্তাগ্রস্ত থাকবেন। কারণ, মানুষ তার সাথে আল্লাহকে সাজদা করেছিল। মুর্তিপুজারিদের সাথে মুর্তিও জাহান্নামে পুড়ানো হবে মর্মে কোথাও পড়েছিলাম।

মোটকথা, আল্লাহ শিরকের ব্যাপারে কোন ছাড় দিবেন না।

[গ]

আমরা সেদিন একটি তাবিজের পোস্টমর্টেম দেখলাম, যেখানে সুরা ইখালাসের সাথে শিরক মিশিয়ে ভয়াবহতম শিরক করা হয়েছে। আচ্ছা সেসব কবিরাজ বা যাদুকররা “ইয়া জিবরাইল ইয়া মিকাইল” তাবিজ লেখে, তারাও তো শিরক করছে। তাইনা? ফিরিশতাদের সাথে শিরক। নিজে তো করছে, অন্যকেও শিরকি কালাম বিতরণ করছে!

মূলতঃ শয়তানকে সন্তষ্ট করার জন্য তাঁরা ফেরেশতাদের নাম নিয়ে আল্লাহর সাথে শিরক করে। কোন এক শয়তানি কবিরাজির বইয়ে সুরা ইখলাসের ওঁই শিরকি এডিশন লিখা ছিল, এরপর কিছু নিয়মকানুন বলা ছিল। এভাবে এভাবে এত হাজার বার লিখবেন পড়বেন এতদিন, এরপর “তিনজন মক্কেল আসবে আপনার খেদমতে!!!”

এই তিনজনের মধ্যে একজনের ব্যাপারে লিখেছে – সে বলবে আমার নাম আব্দুর রহমান, "সুরা ইখলাস পাঠ করিয়া আমাকে ডাকিলে" আমি হাজির হইব। আমি আপনাকে “বহুবিধ জ্ঞান ও আশ্চর্য বিদ্যা” শিক্ষা দিব। এরপর তাহারা সিজদা করিতে বলিলে আল্লাহর নামে সিজদা করিবে!

এবার আমি ব্যাখ্যা করি শোনেন – “সুরা ইখলাসের সাথে কয়েক হাজার বার জঘন্যভাবে শিরক মিশ্রিত করে বড় শয়তান সন্তুষ্ট করতে পারলে, সে তিনটা চামচা পাঠাবে। এই তিনজনের মধ্যে এক শয়তান এসে যাদু শিখাবে, আর এসব স্যাটানিক রিচ্যুয়াল পালন শেষে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, যখন শয়তানকে সিজদা করতে হবে।”

এই কবিরাজদেরকেই মানুষ বিরাট বুজুর্গ মনে করে, তাই না?

[ঘ]

দেখুন আমাদের প্রভু আল্লাহ তা'আলা কি বলছেন -

“যেদিন তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন এবং ফেরেশতাদেরকে বলবেন, এরা কি তোমাদেরই পূজা করত? ফেরেশতারা বলবে, আপনি পবিত্র, আমরা আপনার পক্ষে, তাদের পক্ষে নই, বরং তারা জিনদের পূজা করত। তাদের অধিকাংশই শয়তানে বিশ্বাসী।” [সুরা সাবা:৪০-৪১]

গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষায় সহায়ক কিছু টিপস!

 গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষায় সহায়ক কিছু টিপস!

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে গর্ভবতী মায়েদের নিরাপত্তার জন্য কি কি করা যেতে পারে? বা গর্ভাবস্থায় রুকইয়াহ না করে বিভিন্ন খারাপ জিনিসের ক্ষতি থেকে কিভাবে বাঁচবো??

উত্তরঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। গর্ভাবস্থায় রুকইয়াহ না করতে চাইলে নিচের বিষয়গুলো এ সময় মেনে চলার চেষ্টা করবেন। যা আপনাকে ও আপনার সন্তানকে সকল খারাবি থেকে রক্ষার জন্য সহায়ক হবে ইংশাআল্লাহ

__________

*** ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরীকারী কোন জিনিশ যেমনঃ মূর্তি, মূর্তি জাতীয় শোপিস, পুতুল, প্রাণির উন্মুক্ত ছবি, নিজেদের টাঙ্গানো ছবি, কুকুর, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি থাকলে সেগুলা সরিয়ে ফেলবেন। গায়ে বা ঘরে তাবিজ বা যেকোন তাবিজ জাতীয় জিনিশ (যতবড় মাওলানা মুফতি সাহেবই দিক না কেন) থাকলে তা নষ্ট করে ফেলবেন। তাবিজ ব্যবহারের জন্য তাওবাহ করবেন। ভবিষ্যতে আর এদিকে পা বাড়াবেন না। 

সময়মত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করুন। চেষ্টা করবেন আউয়াল ওয়াক্তে পড়ার। সম্ভব হলে নফল ইবাদাত করুন বেশি বেশি। চেষ্টা করুন তাহাজ্জুদ মিস না দেয়ার। সাথে সালাতুল হাজতও পড়ার চেষ্টা করুন।

বেশি বেশি যিকর করবেন। শুয়ে, বসে সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরনে মশগুল থাকুন। অন্তরে প্রশান্তি আসবে। কারণ আল্লাহ তা'আলা বলেন, “জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই দিলের সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করা যায়”। (সূরা রাদ: ২৮)

গুনাহ থেকে বাঁচুন। বিশেষ করে মেয়েদের দ্বারা যে সহজ কিন্তু ভয়ংকর গুনাহগুলো সংঘটিত হয় সেগুলো থেকে বাঁচুন। একে অন্যের দোষচর্চা, সিরিয়ালপ্রীতি, পর্দা সম্পর্কে উদাসীনতা, অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া এসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

হারাম উপার্জন থেকে বাঁচবেন, বিশেষ করে সুদ থেকে।

বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন, দরুদপাঠ করুন। এসময় যেহেতু শরীরে ক্লান্তি, অবসাদ চলে আসে সেটা দূর করতে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়বেন।

ওযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাবার আগে ওযু করে নিন।

সকাল সন্ধ্যা এবং ঘুমের আগের মাসনুন আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করুন। বিশেষতঃ আয়াতুল কুরসি এবং তিন কুলের আমল মিস দিবেন না। 

ফজর এবং আসরের পর অবশ্যই "লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া'হদাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল 'হামদ, ওয়াহুওয়া 'আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর" এটা ১০০বার পড়া। কোনোদিন না পারলে অন্তত ১০ বার পড়বেন। ফজরের পরে সূরা ইয়াসীন এবং এশার পরে সূরা মূলক পড়বেন।

বেশি বেশি সাদাকাহ করবেন। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারেন। নিয়মিত সাদাকাহ করবেন।

কুর'আন তিলাওয়াত করুন। কুর'আনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন। এখন অনেকে বলেন কি সুরা পড়বো?? কুর'আন হাদীসে নির্দিষ্ট সুরার কথা উল্লেখ করা হয়নি। এমনিতেই খতমের নিয়াতেও কুর'আন পড়তে পারেন, এই লম্বা সময়ে চেষ্টা করলে অনেকবার খতম দেয়া সম্ভব।

এ সময় সবর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে সবর করলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

এছাড়া বেশি বেশি দু'আ করুন। মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন, পজিটিভ থাকুন। নিজের সমস্যার কথা পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।। আবারো বলছি মাসনুন আমলগুলো বাদ দিবেন না। যদি ভুলে যান যখনই মনে পড়বে সাথে সাথে পড়ে নিবেন।। আর যদি কোন সময় সমস্যা বুঝতে পারেন, তাহলে তখন তিনকুল পড়ে শরীর মুছে নিবেন। সূরা বাক্বারাহ কে শরীরের পোশাকের মতোন সঙ্গী করে নিবেন। যারা জ্বিনের রোগী তারা ঘরে প্রতিদিন সূরা বাক্বারাহ তিলাওয়াত করবেন এবং সূরা সফফাত এর ১ থেকে ১০ আয়াত পড়া পানি রেডি করে ছিটাবেন বাসার প্রতিটা জায়গায়।

এগুলো মেনে চললে নানা রকম বালা মুসিবত থেকে রক্ষা পাবেন আর রব্বুল আ'লামীনের নৈকট্যও অর্জনেও সহায়ক হবে।

__________

আর সবশেষে বললেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হল, দু’আ। অবশ্যই অবশ্যই দু’আ করবেন, নিজের জন্য, সন্তানের জন্য অন্তর থেকে সবটুকু মমতা ঢেলে দিয়ে মন খুলে দু’আ করবেন। যা চান, যেমন চান সব আল্লাহর কাছে বলবেন। আমরা প্রায় সময়েই দু’আ-কে হেলাফেলা মনে করি, এটা দুঃখজনক। এমনটা করবো না। মু’মিনের সবচেয়ে পাওয়ারফুল অস্ত্র হচ্ছে দু’আ। দু’আর বরকতে আল্লাহ কত অসম্ভবকেও সম্ভব করে দেন! সুবহানাল্লাহ!

আল্লাহ আমাদের বুঝার এবং মানার তাওফিক দিন এবং সকল গর্ভবতী মায়েদের তাঁর নিরাপত্তার চাদরে জড়িয়ে নিন। আমিন!

বদনজরের সেলফ রুকইয়াহ

বদনজরের সেলফ রুকইয়াহতে নিচের নিয়মে গোসল করতে বলা হয়। এছাড়াও আরো কিছু সমস্যার জন্যও নিচের গোসলটির পরামর্শ দেয়া হয়। মেম্বারদের সুবিধার্থে আলাদা পোস্ট দেয়া হচ্ছে এই গোসলের নিয়ম নিয়ে।

গোসলের নিয়মঃ

-----------

একটা বালতিতে পানি নিবেন, তারপর ওই পানিতে দুই হাত ডুবিয়ে নিচের আয়াত/দুয়াগুলো পড়বেন -

দরুদ শরিফ (৭বার)

সুরা ফাতিহা (৭বার)

আয়াতুল কুরসি (৭বার)

সুরা কাফিরুন (৭বার)

সুরা ইখলাস (৭বার)

সুরা ফালাক (৭বার )

সুরা নাস (৭বার)

আবার দুরুদ শরীফ (৭বার) ।

যদি সময় কম থাকে তবে প্রতিটি ৩ বার করে পড়তে পারেন। ৩ বার পড়ারও সময় না থাকলে আপনি ১ বার করেই পড়তে পারেন। সুরা কাফিরুনও বাদ দিতে পারেন। তবে বেশি পড়লে উপকার বেশি হবে।

এগুলো পড়ার পর হাত উঠিয়ে নিবেন এবং এই পানি দিয়ে গোসল করে ফেলবেন। এরপরে চাইলে অন্য পানি দিয়েও গোসল করতে পারেন

সংশ্লিষ্ট কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ

===============

প্রশ্নঃ গোসলখানার সাথে টয়লেট আছে, এখন ভেতরে পড়া যাবে?

উত্তরঃ ভেতরে পড়া যাবে না। আপনি বালতির পানি বাইরে এনে পড়বেন ।

প্রশ্নঃ একবার পানি তৈরি করে নিয়ে কয়েকদিন মিক্স করে করে গোসল করা যাবে?

উত্তরঃ এই গোসলের নিয়ম হলো প্রতিদিনের পানি প্রতিদিন তৈরি করা।

প্রশ্নঃ মেয়েরা পিরিয়ডের সময় কিভাবে পানি তৈরি করবে?

উত্তরঃ যেহেতু এই সময়ে কুরআন তিলাওয়াত নিষিদ্ধ, সেহেতু পরিবারের অন্য কেউ পানি তৈরি করে দিবে। এরপরে রোগী গোসল করে নিবেন। যদি এটা পারা না যায় তবে রুকইয়ার দুয়াগুলো পড়ে পানি তৈর করবে। 

প্রশ্নঃ আগে গোসল করে এরপর রুকইয়াহ শোনা যাবে?

উত্তরঃ যাবে। তবে আগে রুকইয়াহ শুনে পরে গোসল করা উত্তম।

প্রশ্নঃ পানি তৈরি করার সময় দেখে দেখে দোয়া/সুরা পড়লে হবে?

উত্তরঃ মুখস্ত বা দেখে দেখে যেকোন একভাবে পড়লেই হবে।

প্রশ্নঃ একজনের গোসলের পানি দিয়ে দুইজন গোসল করতে পারবে?

উত্তরঃ পানি গায়ে ঢালার মত যথেষ্ট হলে পারবে।

প্রশ্নঃ গোসলের পানি গরম করা যাবে?

উত্তরঃ আয়াত/দুয়াগুলো পড়ার পর গোসলের পানি গরম করবেন না। তবে আগে থেকে গরম পানি নিয়ে তাতে দুয়া/আয়াতগুলো পড়তে পারবেন।


জিন যাদু থেকে বেঁচে থাকার দৈনন্দিন জিকির সমূহঃ

  সকাল-সন্ধ্যার আমল সমুহঃ ১. আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং-শাররি মা-খলাক্ব। أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ ...