১। স্বামী বাইরে থাকলে ভালো থাকে; কিন্তু বাড়িতে প্রবেশ করলেই দুজনের কোন একজনের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
২। খুব বেশি সন্দেহপ্রবণ হয়ে যায়।
৪। স্ত্রী দেখতে যত সুন্দর ই হোক, স্বামীর কাছে খারাপ লাগে। স্ত্রী সাজগোজ করলেও স্বামীর বিরক্ত লাগে।
৫। স্বামীর ভালো কথাবার্তা বা সুন্দর আচরণ ও স্ত্রীর কাছে বিরক্তিকর মনে হয়।
৬। স্বামীর ব্যবহৃত জিনিস বা বসার জায়গা স্ত্রী অপছন্দ করে।
৭। অন্যদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করলেও স্বামী স্ত্রী কথা বলতে গেলেই ঝামেলা বেধে যায়।
এরকম ঘটনা যদি সচরাচর ঘটতেই থাকে, তবে বুঝতে হবে কোন সমস্যা আছে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সব লক্ষ্মণ মিলবে ব্যাপার টা এমন নয়। তবে সমস্যা থাকলে অন্তত ২,৩ টি মিলে যাওয়ার কথা। আর সংগত কারণেই জিন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও মিলতে পারে।
এই জাদু বেশিরভাগ সময় জিন দিয়ে করা হয়। এজন্য এই জাদুর রুকইয়াহর ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগতে পারে এবং কষ্ট ও হতে পারে। এক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হবে।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের জাদু করা হলে করণীয়ঃ
একটা বোতলে পানি নিয়ে সূরা বাকারাঃ ১০২, সূরা আ'রাফ ১১৭-১২২, সূরা ইউনুস ৮১-৮২, সূরা ত হা ৬৯ নম্বর আয়াত এবং সূরা ফালাক, নাস পড়ে ফুঁ দিন।
১। এই পানি প্রতিদিন দুইবেলা খাবেন।
২। প্রতিদিন গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। প্রতিদিন না পারলে অন্তত ২-৩ দিনে ১ দিন করবেন।
৩। সূরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জিন প্রতিদিন তিনবার করে তিলাওয়াত করবেন অথবা শুনবেন। কোন দিন সময় কম থাকলে একবার হলেও শুনবেন।
৪। আয়াতুল কুরসির রুকিয়া ( আয়াতুল কুরসির বারবার তিলাওয়াত করা অডিও) প্রতিদিন আধা ঘন্টা বা এর বেশি শুনবেন।
৫। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ থেকে ১০০ বার ইস্তিগফার এবং লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়বেন, আরো বেশি পড়তে পারলে আরো ভালো।
৬। রুকইয়াহ থেকে সম্পূর্ণ ফায়দা পেতে গান বাজনা সহ অন্যান্য কবিরা গুনাহ থেকে দূরে থাকবেন। নামাজ ওয়াক্তমতো আদায় করবেন। ফরজ ওয়াজিব ইবাদাতে যেন ত্রুটি না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।
৭। ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসি ও ঘুমের আগের অন্যান্য আমল, সকাল সন্ধ্যার মাসনুন দুয়া, সূরা ইখলাস, ফালাক , নাস নিয়মিত আমল করবেন।
No comments:
Post a Comment