Wednesday, April 23, 2025

জিন যাদু থেকে বেঁচে থাকার দৈনন্দিন জিকির সমূহঃ

 সকাল-সন্ধ্যার আমল সমুহঃ

১. আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং-শাররি মা-খলাক্ব।
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
সকাল-সন্ধ্যায় এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করে ৩ বার বুকে ফু দেওয়া। বিষ, যাদু এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাঁচতে। ( ফু না দিয়ে শুধু পাঠ করলেও চলবে।) (জামে তিরমিযী, ৩৫৫৯)
.
২. বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াদ্বুররু মা‘আসমিহী, শাইউং ফিলআরদ্বী ওয়ালা- ফিসসামা-ই, ওয়াহুওয়াস সামি’উল ‘আলীম।
بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ
সকাল-সন্ধ্যায় এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করে ৩ বার বুকে ফু দেওয়া। সব ধরনের ক্ষতি এবং বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকতে। ( ফু না দিয়ে শুধু পাঠ করলেও চলবে।) (জামে তিরমিযী, ৩৩৩৫)
.
৩. জিন-শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচতে সকাল সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি ৩ বার পাঠ করে.৩ বার বুকে ফু দেওয়া বা হাতে ফু দিয়ে সমস্ত শরীর হাত দিয়ে মাসেহ করা ( ফু না দিয়ে শুধু পাঠ করলেও চলবে।) (সুরা বাকারা ২৫৫নং আয়াত) (হাকিম ১/৫৬২)
.
৪. সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস: প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার পাঠ করে.৩ বার বুকে ফু দেওয়া বা হাতে ফু দিয়ে সমস্ত শরীর হাত দিয়ে মাসেহ করা। সব ধরনের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে এটা রাসুল স. এর শিখানো আ’মল। ( ফু না দিয়ে শুধু পাঠ করলেও চলবে।) (সুনানে আবি দাউদ)
.
৫. লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হ্া মদ, ওয়াহুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর
لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ ، وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
প্রতিদিন সকালে ১০০বার পড়া। এর অনেক বেশি ফজিলত, এবং জ্বিন-শয়তানের ক্ষতি থেকে বাঁচতে এটা পরিক্ষিত আ’মল। (বুখারি, মুসলিম হাদিস নং ৪৮৫৭) একশতবার না পারলে, অন্তত ফজর ও আসরের পর ১০বার করে পড়া। (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ) আরেকটু সহজ ভাবে এই আমলটি করা যায়, আমরা যদি প্রতি ৫ ওয়াক্ত সালাতের পর ২০ বার করে পড়ি তাহলে সম্পূর্ণ ৫ ওয়াক্ত সালাত মিলে আমাদের এই দোয়াটি ১০০ বার পড়া হয়ে যাবে।
.
৬. সুরা তাওবাহ ১২৯ নং আয়াতের অংশ-
حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় সাতবার এটি পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন। (সুনানে আবি দাউদ)

বদনজর রোধে আমাদের করা কতিপয় বর্জনীয় কাজ সমুহ।

 ১) সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ছবি, শপিং করার ছবি, খাওয়া দাওয়ার ছবি ইত্যাদি শেয়ার না করা।

২) সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সুখ শান্তি সফলতা ইত্যাদির জানান না দেওয়া।
৩) নিজের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অন্যকারো কাছে অহেতুক প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকা।
৪) বাচ্ছারা খুবই মেধাবী, বা ভদ্র বা অন্য কিছু যা দারা মানুষের নজর কাড়ে, এইগুলো প্রতিবেশি বা অন্যকারো কাছে অহেতুক প্রকাশ না করা।
৫) বিশেষ করে মা বোনদের সাবধানতা অবলম্ভন করা, কারন মা বোনরা অতি অল্পতেই কারন ছাড়া অন্যকারো কাছে ফ্যামিলির প্রশংসা ভালো দিক গুলো বর্ননা করা শুরু করে দেয়।
৬) সবসময় হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করে এই ধরনের মানুষ এড়িয়ে চলা।
৭) এছাড়া ও লোক দেখানো যত কর্মকান্ড আছে এইগুলা আমাদের এড়িয়ে চলা, এই সকল কাজ সমূহ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে যেমনি ভাবে আমাদের বদনজরের কু প্রভাব থেকে রক্ষা করবে, অপরদিকে আমাদের মনে জাগ্রত হওয়া অহংকারকে ও ধ্বংস করবে।

জ্বিন-জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহঃ

(ক) জাগ্রত অবস্থায়ঃ

---------------------------------------
০১) ইবাদত বিমূখতা। দিনদিন আল্লাহবিমূখ হওয়া। ইবাদত-বন্দেগীতে অনীহা।
০২) কুরআন তেলাওয়াত ও আযানে অস্বস্তি।
নিজে কুরআন তেলাওয়াত করতে গেলে বিভিন্নভাবে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া।
০৩) জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্নের মত অনেক কিছু দেখতে পাওয়া। অদৃশ্য কারো আওয়াজ শুনতে পাওয়া।
০৪) ভিন্নধর্ম ও ধর্মীয় কার্যকলাপের প্রতি আকর্ষণ (হঠাৎ)।
০৫) মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অস্বাভাবিক (কম বা বেশী) ঋতুস্রাব।
০৬) কিছুতেই কোনো কাজে মন না বসা। মনোযোগ বিক্ষিপ্ত।
০৭) সামান্যতেই রেগে যাওয়া, কান্নাকাটি করা। দুর্ব্যবহার করা, গালিগালাজ করা।
০৮) অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাভাবিক আচরণ।স্বভাব ও রুচিতে হঠাৎ ব্যাপক পরিবর্তন।
০৯) প্রচন্ড অলসতা, অবসন্নতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা, আতঙ্কভাব। শরীর ভারী ভারী লাগা।
১০) শরীরের কোনো অঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা, প্যারালাইজড, কিন্তু চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না।
১১) সন্তান বুকের দুধ খেতে না চাওয়া। মা সন্তানকে দুধ খাওয়াতে না চাওয়া।
১২) টয়লেটে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা। একা একা কারো সাথে কথা বলা।
১৩) হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই।
১৪) হঠাৎ অজ্ঞান/বেহুশ হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
১৫) বারবার বমি করতে থাকা। প্রচন্ড বমিবমি ভাব।
১৬) দীর্ঘস্থায়ী মাথা যন্ত্রণা/ব্যথা, ঔষধে কাজ না করা।
১৯) স্বামী+স্ত্রী উভয়ে সুস্থ হওয়া সত্বেও গর্ভধারণ না হওয়া।
২০) মৃগীরোগ হওয়া।
২১) ঘাড়ে, কাঁধে, কোমরে ও পায়ের মাংশ পেশীতে ব্যাথা। শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।ইত্যাদি।
(খ) ঘুমন্ত অবস্থায়ঃ
------------------------------
০১) ভয়ানক স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠা।
০২) উদ্বিগ্নতা, নিদ্রাহীনতা। ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া।
০৩) স্বপ্নে কোনো গোরস্থান, পরিত্যক্ত বা নির্জন কোনো জায়গা বারবার দেখা। নিজেকে সেখানে দেখা।
০৪) স্বপ্নে কুকুর, বিড়াল, বাঘ, সিংহ, সাপ ইত্যাদি কোনো হিংস্র প্রাণীকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা।
০৫) ঘুমের মধ্যে কথাবার্তা বলা, চিৎকার করা, হসি-কান্না, গোঙানো।
০৬) ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরেছে এরকম অনুভূতি। নড়াচড়া করতে না পারা।
০৭) বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমনঃ বিশাল লম্বা, খুবই কালো, অনেক খাটো ইত্যাদি।
০৮) ঘুমের মধ্যে হাটাহাটি করা, দৌড়ানো।
০৯) স্বপ্নে নিঁজেকে উচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
১০) যথেষ্ট বয়স হওয়া সত্বেও ছেলে/মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাব করা (স্বপ্ন দেখে)। ইত্যাদি।
বদনজর রোধে আমাদের করা কতিপয় বর্জনীয় কাজ সমুহ।
১) সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ছবি, শপিং করার ছবি, খাওয়া দাওয়ার ছবি ইত্যাদি শেয়ার না করা।
২) সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সুখ শান্তি সফলতা ইত্যাদির জানান না দেওয়া।
৩) নিজের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অন্যকারো কাছে অহেতুক প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকা।
৪) বাচ্ছারা খুবই মেধাবী, বা ভদ্র বা অন্য কিছু যা দারা মানুষের নজর কাড়ে, এইগুলো প্রতিবেশি বা অন্যকারো কাছে অহেতুক প্রকাশ না করা।
৫) বিশেষ করে মা বোনদের সাবধানতা অবলম্ভন করা, কারন মা বোনরা অতি অল্পতেই কারন ছাড়া অন্যকারো কাছে ফ্যামিলির প্রশংসা ভালো দিক গুলো বর্ননা করা শুরু করে দেয়।
৬) সবসময় হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করে এই ধরনের মানুষ এড়িয়ে চলা।
৭) এছাড়া ও লোক দেখানো যত কর্মকান্ড আছে এইগুলা আমাদের এড়িয়ে চলা, এই সকল কাজ সমূহ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে যেমনি ভাবে আমাদের বদনজরের কু প্রভাব থেকে রক্ষা করবে, অপরদিকে আমাদের মনে জাগ্রত হওয়া অহংকারকে ও ধ্বংস করবে।

রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারেঃ 01708-732272

যাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

১) স্বপ্নে কালো কুকুর, কালো বিড়াল দেখা। এটা আশিক জিনের ক্ষেত্রেও হতে পারে।

২) স্বপ্নে উঁচু স্থান থেকে পড়ে যেতে দেখা। হতে পারে পাশ দিয়ে সমুদ্র ঢেউ খাচ্ছে আবার চলে যাচ্ছে । আবার ফুঁসে উঠছে। অনেক ঝড়-তুফান চলছে।
৩)স্বপ্নে যাদুকর, কবিরাজ, পাখি, চিতাবাঘ, সিংহ দেখা। এটা ব্ল্যাক ম্যাজিক এর লক্ষণ।
৪)অন্তর সংকীর্ণ হয়ে আসা। বদনজরের খাদেম এবং মানসিক সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে। তবে এমনটি যদি আসরের পর হয় এবং তা বাড়তে থাকে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই যাদুর লক্ষণ।
৫)খুব বেশি পরিমাণে চুল পড়া। এটা অসুস্থ বানানো এবং হত্যার যাদু। তবে চুল বেশি সুন্দর হলে বদ নজরের কারণে পড়তে পারে।
৬)নিজ কর্ম অপছন্দ করা । যেমন অফিসে যেতে ভালো না লাগা । এটা বিচ্ছিন্ন করার যাদু। নিজ সত্যবাদিতার উপরও নজর লাগতে পারে । যেমন কোন কর্মচারী কাজ করা সত্ত্বেও তাকে সন্দেহের নজরে দেখা ।
৭)দীর্ঘদিনের শারীরিক সমস্যা । পরীক্ষায় কিছুই ধরা পড়ে না । সব ডাক্তার, সব ওষুধ খাওয়া শেষ । এটা কখনো যাদুর কারণে হতে পারে আবার বদনজরের কারণেও হতে পারে।
৮)সব ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর সাথে সহবাসে অক্ষম হওয়া।
৯) নামাজ পড়তে অলসতা, হাই আসা, নামাজ ভারী ভারী লাগা।
১০) স্বপ্নে কবরস্থান দেখা এবং নিজেকে সব সময় গর্ভবতী দেখা ।
১১)ভাইবোন, মা-বাপ কাউকে নিজের দিকে আসতে দেখা। কারো কথা বেশি চিন্তা করার কারণে দেখলে সেটা ভিন্ন কথা
১২)মাস বা বছরের নির্দিষ্ট দিনে অসুস্থ হওয়া।
১৩)যে কোন প্রকার খাবার খেতে না পারা। সেটার আলোচনা করলে বা খেলে অসুস্থ হয়ে যাওয়া। কষা, দাস্ত, আমাশয় হওয়া।
১৪)চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। কখনো লাল কখনো সাদা । এটা হবে কাজের চাপ ছাড়াই । বিশেষ করে আসরের পর এবং রুকইয়ার সময় ।
১৫) বিশাল আকার অজগর/ সাপ দেখা।
১৬) রাকির চেহারার দিকে তাকাতে না পারা। তাকে যাদুকর , ভেলকিবাজ মনে হওয়া।
১৭) রুকইয়ার জন্য কোন সেন্টারে যেতে না পারা । মনে ভয় চলে আসে। চিল্লাচিল্লি শুরু করা।
১৮) স্বপ্নে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া করা।
১৯) পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
২০) পাকস্থলী খুব ব্যথা হওয়া।
২১)স্ত্রীর চেহারা ভালো না লাগা। তাকে ভালোবাসতে না পারা। যদিও সে অন্য নারীর তুলনায় অনেক ভালো হয়।
২২) খাবারের স্বাদ চলে যাওয়া
২৩)সর্বদা পুরাতন ঘর দেখা।
২৪) কেবল নিজ ঘরে শান্তি লাগা বা এর উল্টো হওয়া অর্থাৎ ঘরের বাহিরে গেলে শান্তি লাগা ঘরে অশান্তি।
২৫) বোরকা বা অন্য কোনো কাপড় বহু পুরনো হওয়া সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়াই ছাড়তে না চাওয়া বা না পারা।
২৬) মাথা ব্যাথা করা
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এই লক্ষণগুলো অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন জনের উপর তত্ত্বতালাশ করে বের করা হয়েছে ।
কিছু কিছু পয়েন্টের অনেক ব্যখ্যা আছে। আর কিছু লক্ষণ বদনজরের সাথে মিল রয়েছে। তাছাড়া যাদুর লক্ষণ অনেক। বদনজরের লক্ষণগুলো সীমাবদ্ধ করা গেলেও যাদুর লক্ষণ কখনোই সীমাবদ্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ তা মহাসমুদ্র পরিমাণ।

বাচ্চাদের কি জিন আক্রমন করে? কিভাবে বুঝবো আমার বাচ্চা জিন আক্রান্ত কি না?

একটা বাচ্চার প্যারানরমাল প্রবলেম হয় তার বাবা-মার গাফিলতির কারণে। হয়ত বাবা-মা আমলদার নয়, হয়ত যতটুকু আমলদার হবার কথা ছিল ততটুকু নয়, হয়ত ছোট থেকেই হারাম কোন তাবিজ লাগিয়ে দিয়েছে গায়ে, হয়ত বদনজর, জিন, জাদু থেকে নিজেকে এবং বাচ্চাকে বাঁচাতে যা যা করা দরকার সেগুলো করে না। এসব কারণেও সন্তান আক্রান্ত হতে পারে।

নিচে কিছু লক্ষন দেয়া হল। তবে পরিষ্কার করে বলতে চাই এসব লক্ষণের কিছু কিছু স্বাভাবিক হতে পারে। কাজেই কয়েকটা লক্ষন মিলে গেলেই নিজের বাচ্চাকে জিনের রোগী ভাবার কোনো কারণ নেই। সত্যিকারভাবে জানার একমাত্র উপায় হল রুকইয়াহ করা।
লক্ষনসমূহঃ
১। হুট করে অনিদ্রায় আক্রান্ত হওয়া বা ঘুমাতে ভয় পাওয়া
২। টয়েলেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা
৩। আয়নার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে থাকা
৪। শরীরে এখানে ওখানে ব্যথা করে – এমন অভিযোগ করবে
৫। ঘুম থেকে উঠলে মাথা ব্যথা করা
৬। একা একা উপরের ঘরে/নিজের ঘরে/এই ঘর থেকে ঐ ঘরে যেতে ভয় পাওয়া
৭। এমন কুরূচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলা যা একটি শিশুর ব্যক্তিত্বের সাথে মিলে না।
৮। স্বপ্নে সাপ, কুকুর, সিংহ অথবা অন্য কোন প্রানী বা মানুষ তাকে ধাওয়া করছে এমন দেখা।
৯। অদ্ভুত কাজকর্ম, ভুল-ভ্রান্তি করা এবং করতেই থাকা যেন কেউ তাকে উস্কে দিচ্ছে করার জন্য। সে জানে এটা করা উচিত না তবুও করবে।
১০। মসজিদের প্রতি ঘৃণা / ভয় সৃষ্টি হওয়া। কুরআনুল কারীমের সাথে বেয়াদবি করা।
১১। পা, হাটুর নিচের ফোলা গোশতে অথবা পেটে (রাতে) ব্যথা করে বলা
১২। জিন দেখতে পাওয়া
১৩। ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁতে পিষতে থাকা।
১৪। স্বপ্নে উপর থেকে পড়তে দেখা।
১৫। চোখের মণি মাঝে মাঝে বড় হয়ে যাওয়া। পুরো চোখ কালো হয়ে গিয়েছে এমন মনে হতে পারে।
১৬। কুরআনের অডিও শুনতে খুবই অপছন্দ করা।
১৭। প্রচন্ড রাগ এবং অস্বাভাবিক শক্তি।
১৮। একদম বালক বয়স থেকেই যৌনতা সম্পর্কিত চিন্তা/কার্জকলাপে আগ্রহ থাকা। যেমন, ৭/৮ বছর বয়স থেকে।
১৯। কাল্পনিক কোন বন্ধু-বান্ধব আছে এমন কথা বলা। তাদের নামও বলতে পারে।
২০। রাতের বেলা বাইরে যেতে চাওয়া এবং ঘরে ফিরতে অপছন্দ করা – যদিও বাহ্যিকভাবে এর কোনো কারণ নেই।
২১। আযান শুনলে ভয় পাওয়া
লক্ষন দেখে আপনার যদি মনেহয় আপনার বাচ্চার সমস্যা আছে নিজেরা প্রাথমিকভাবে রুকইয়াহ হিসেবে ডিটক্স করাতে পারেন বাচ্চাকে।
ডিটক্সের পর প্রতিদিন বাচ্চাকে পাশে বসিয়ে এখানকার দুয়াগুলো এবং সুরা ফালাক-নাস পড়ে ফু দিবেন তিনবেলা ১০-১৫ মিনিট করে পড়তে পারেন। আর এগুলো আরেকবার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন। তবে বাথরুমে বসে এসব দোয়া/আয়াত পড়বেন না। পানি বাইরে এনে পড়বেন।
আর অভিভাবকদের উচিত নিজেদের আমল-আখলাখের দিকে নজর দেয়া। ঘরের পরিবেশ ঠিক করা। ইংশাআল্লাহ সমস্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে। আর যদি না কমে তাহলে খোজখবর করে রাক্বির কাছে যেতে পারেন। বাচ্চার সাথে বাচ্চার বাবা-মা অবশ্যই যেন যায়।
বাচ্চাদের রুকইয়াহ করা এমনিতেই কঠিন। তারা প্রকৃতিগতভাবেই দুষ্টু এবং অস্থির। কাজেই অভিজ্ঞ রাক্বীর স্মরণাপন্ন হওয়াই যুক্তিযুক্ত।

একটি মানুষ কিভাবে জিন দ্বারা আক্রান্ত হয়?

০১- জিন যখন মানুষের প্রেমে পড়ে।

এই ক্ষেত্রে পেশেন্টদের আখলাকের (চরিত্রের) দূর্বলতা থাকে। জিনটি তখন মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হয় তার আইন (নজর) সৃষ্টির মাধ্যমে। দৃষ্টান্ত পেশেন্ট এমন এক চরিত্রের অধিকারী যেখানে নোংরামি অশ্লীলতার জীবন যাপন করা হয়ে থাকে। ফলে মানুষ ও জিনদের কে উক্ত অশ্লীল আখলাকের ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট করে তুলে। পরিণাম মানব ও জিনদের নজরগ্রস্ত হয়ে থাকে৷ এই ভাবে দীর্ঘ একটি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর জিন শয়তান তার আইন হাসাদ ও সিহরের মাধ্যমে,উক্ত ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
০২- আপনি যখন জিনের ক্ষতি করে থাকবেন।
যেমন হাদিস বর্ণিত কিছু নিষিদ্ধ স্থান আছে।
যে স্থানগুলোতে জিন শয়তান থাকতে পারে। কিংবা নিষিদ্ধ কিছু সময় আছে। উক্ত স্থানে কিংবা নিষিদ্ধ সময়ে যখন নিজের উপস্থিতিতে এমন কোন কর্মকান্ড সংগঠিত হওয়া। যার মাধ্যমে জিন শয়তান আপনার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জিনগ্রস্ত করতে পারে।
হাদিসে বর্ণিত যে যে স্থান ও সময়ের কথা বলা হয়েছে জিন শয়তান থাকতে পারে।
যেমন ড. উমর আল আশকার তার বিখ্যাত “জিন ও শয়তান জগত” (আরবি) গ্রন্থে বলেন,
“ধ্বংসস্তূপ, জনমানবশূন্য এলাকা এবং নোংরা স্থানে তারা বেশি থাকে। যেমন: গোসলখানা, পেশাব-পায়খানার ঘর, ময়লা ফেলার স্থান, গোরস্থান ইত্যাদি।”
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ هذِهِ الْحُشُوْشَ مُحْتَضَرَةٌ فَإِذَا أَتى أَحَدُكُمُ الْخَلَاءَ فَلْيَقُلْ أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ وَاِبْنُ مَاجَةَ
যায়েদ ইবনে আরকাম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “এ সব টয়লেটে জিন-শয়তানরা উপস্থিত হয়। সুতরাং তোমাদের যারা টয়লেটে যাবে তারা যেন এ দু’আ পড়ে:
أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণ: “আ’উযু বিল্লাহি মিনাল খুবুসি ওয়াল খবায়িস।”
“আমি আল্লাহর নিকট নাপাক নর ও নারী জিন-শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।”
[সহীহ-আবু দাউদ/৬, ইবনে মাজাহ্/২৯৬, সহীহুল জামি/ ২২৬৩।]
বাজার-মার্কেটে ইবলিশ এবং তার বংশধর উপস্থিতি বেশি থাকে। এরা সেখানে মানুষকে নানাভাবে ফেতনায় ফেলে ও অন্যায়-অপকর্মে প্ররোচিত করে। তাই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে অবস্থান করতে নিষেধ করেছেন। তিনি সালমান রা. কে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন,
لَا تَكُونَنَّ إِنْ اسْتَطَعْتَ أَوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ السُّوقَ ، وَلَا آخِرَ مَنْ يَخْرُجُ مِنْهَا ، فَإِنَّهَا مَعْرَكَةُ الشَّيْطَانِ ، وَبِهَا يَنْصِبُ رَايَتَهُ
“যদি পারো তাহলে বাজারে সর্বপ্রথম প্রবেশ কারী হয়ো না এবং এমনটাও হয়ো না যে, তুমি হবে সেখান থেকে সর্বশেষ প্রস্থান কারী। কারণ তা শয়তানের যুদ্ধক্ষেত্র। সে সেখানে তার ঝাণ্ডা স্থাপন করে। (সহিহ মুসলিম, হা/ ২৪৫১)
কারণ বাজারগুলোতে বিভিন্ন প্রকার অন্যায় কার্যক্রম সংঘটিত হয়। যেমন: ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, মিথ্যা কথা, কসম, বাতিল চুক্তি, নিষিদ্ধ জিনিসের দিকে হারাম দৃষ্টিপাত, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা। এসব হয় ইবলিস ও তার সহযোগীদের প্ররোচনায়।
এ ছাড়াও হাদিস থকে জানা যায় যে, ইবলিশ সাগরে তার সিংহাসন স্থাপন করে এবং সেখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তার বাহিনী প্রেরণ করে। জাবির রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِنَّ إِبْلِيْسَ يَضَعُ عَرْشَهُ عَلَى الْمَاءِ، ثُمَّ يَبْعَثُ سَرَايَاهُ، فَأَدْنَاهُمْ مِنْهُ مَنْزِلَةً أَعْظَمُهُمْ فِتْنَةً
“ইবলিশ পানির উপর (অন্য বর্ণনায় সাগরে) তার সিংহাসন স্থাপন করত: তার বাহিনী প্রেরণ করে। তাদের মধ্যে তার সর্বাধিক নৈকট্য প্রাপ্ত সেই, যে সর্বাধিক ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে।” (সহিহ মুসলিম)
“যখন রাত নামে (সন্ধ্যার শুরুতে) তোমাদের সন্তানদের ঘরের বাইরে যেতে বারণ কর। কারণ শয়তান এই সময়ে বের হয়। আল্লাহর নাম নিয়ে ঘরের দরজাগুলো বন্ধ কর। কারণ শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।” (বুখারী, ১০/৮৮. মুসলিম ১৩/১৮৫)
০৩- কেউ যখন আপনাকে (ব্ল্যাক ম্যাজিক) কালো যাদু করে থাকে তখন আপনি জিনগ্রস্ত হবেন। কেননা
জিনের সাহায্য ছাড়া কখনো কাউকে যাদুগ্রস্ত করা সম্ভবনা। এবং জিনের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া যাদু কার্যকর করা যায় না। প্রত্যেক যাদু চর্চাকারীর নিকট পালিত জিন শয়তান থাকে। কিংবা যাদুকর উক্ত জিন শয়তানের পূজা করে থাকে৷ আর সে জিন শয়তান গুলো কে যাদুকর তখন খাদিমুস শয়তান
(তথা যাদুর পিছনে নিয়োজিত শয়তান)হিসাবে কাজ করিয়ে থাকে। যাদুকর যে উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে যাদুকে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলে, তখন সে যাদুর সাজানো গোছানোর বাস্তবতার পরিচর্চা করে এই যাদুর খাদিম জিন শয়তান গুলো।
জিন যাদু বদ নজর ও হাসাদের প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে। কুরআন ও সুন্নাহর আকড়ে ধরতে হবে, কেননা ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আর সেই জীবন ব্যবস্থাকে এটা জীবনের সাথে বাস্তবতার সাথে অনুসরণ করতে হবে।

হাদীসে বর্ণিত মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি লাভের কিছু দু'আ:

১.

اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’উযু বিকা মিন যাওয়ালি নি’মাতিকা ওয়া তাহাওউলি ‘আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিকা ওয়া জামি’ই সাখতিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার প্রতি তোমার নিয়ামতের অবক্ষয়, অনাবিল শান্তির অপসারণ, শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ এবং তোমার সব অসন্তোষ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
( মুসলিম ৭১২০)
২.
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئْ الأَسْقَامِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি; ওয়াল জুনুনি; ওয়াল ঝুজামি; ওয়া সাইয়্যিয়িল আসক্বাম
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট শ্বেতরোগ পাগলামি ও কুষ্ঠ রোগসহ সকল জটিল রোগ থেকে আশ্রয় চাই।
(সূনান আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৫৫৪, নাসায়ী (অধ্যায় : আশ্রয় প্রার্থনা, হাঃ ৫৫০৮), আহমাদ (৩/১৯২) কাতাদাহ হতে।)
৩.
اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম্‘ঈ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী। লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল-ফাক্বরি ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্‌তা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শরীরে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শ্রবণশক্তিতে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কুফরি ও দারিদ্র্য থেকে। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে। আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।
(আবূ দাউদ ৪/৩২৪, নং ৫০৯২; আহমাদ ৫/৪২, নং ২০৪৩০; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, নং ২২; ইবনুস সুন্নী, নং ৬৯; বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭০১ আর শাইখ আল্লামা ইবন বায রাহিমাহুল্লাহ ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ গ্রন্থের পৃ. ২৬ এ এর সনদকে হাসান বলেছেন)
৪.
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা:) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে উল্লিখিত দোয়াটি পড়ে, সে ওই ব্যাধিতে কখনো আক্রান্ত হবে না।
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ-ফানি মিম্মাবতালাকা বিহি, ওয়া ফাদদলানি আলা কাছিরিম মিম্মান খলাকা তাফদিলা।
অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির ওপর আমাকে সম্মান দান করেছেন।
(তিরমিযী ৩৪৩২)

জিন যাদু থেকে বেঁচে থাকার দৈনন্দিন জিকির সমূহঃ

  সকাল-সন্ধ্যার আমল সমুহঃ ১. আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং-শাররি মা-খলাক্ব। أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ ...