একটা বাচ্চার প্যারানরমাল প্রবলেম হয় তার বাবা-মার গাফিলতির কারণে। হয়ত বাবা-মা আমলদার নয়, হয়ত যতটুকু আমলদার হবার কথা ছিল ততটুকু নয়, হয়ত ছোট থেকেই হারাম কোন তাবিজ লাগিয়ে দিয়েছে গায়ে, হয়ত বদনজর, জিন, জাদু থেকে নিজেকে এবং বাচ্চাকে বাঁচাতে যা যা করা দরকার সেগুলো করে না। এসব কারণেও সন্তান আক্রান্ত হতে পারে।
লক্ষনসমূহঃ
১। হুট করে অনিদ্রায় আক্রান্ত হওয়া বা ঘুমাতে ভয় পাওয়া
২। টয়েলেটে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা
৩। আয়নার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে থাকা
৪। শরীরে এখানে ওখানে ব্যথা করে – এমন অভিযোগ করবে
৫। ঘুম থেকে উঠলে মাথা ব্যথা করা
৬। একা একা উপরের ঘরে/নিজের ঘরে/এই ঘর থেকে ঐ ঘরে যেতে ভয় পাওয়া
৭। এমন কুরূচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলা যা একটি শিশুর ব্যক্তিত্বের সাথে মিলে না।
৮। স্বপ্নে সাপ, কুকুর, সিংহ অথবা অন্য কোন প্রানী বা মানুষ তাকে ধাওয়া করছে এমন দেখা।
৯। অদ্ভুত কাজকর্ম, ভুল-ভ্রান্তি করা এবং করতেই থাকা যেন কেউ তাকে উস্কে দিচ্ছে করার জন্য। সে জানে এটা করা উচিত না তবুও করবে।
১০। মসজিদের প্রতি ঘৃণা / ভয় সৃষ্টি হওয়া। কুরআনুল কারীমের সাথে বেয়াদবি করা।
১১। পা, হাটুর নিচের ফোলা গোশতে অথবা পেটে (রাতে) ব্যথা করে বলা
১২। জিন দেখতে পাওয়া
১৩। ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁতে পিষতে থাকা।
১৪। স্বপ্নে উপর থেকে পড়তে দেখা।
১৫। চোখের মণি মাঝে মাঝে বড় হয়ে যাওয়া। পুরো চোখ কালো হয়ে গিয়েছে এমন মনে হতে পারে।
১৬। কুরআনের অডিও শুনতে খুবই অপছন্দ করা।
১৭। প্রচন্ড রাগ এবং অস্বাভাবিক শক্তি।
১৮। একদম বালক বয়স থেকেই যৌনতা সম্পর্কিত চিন্তা/কার্জকলাপে আগ্রহ থাকা। যেমন, ৭/৮ বছর বয়স থেকে।
১৯। কাল্পনিক কোন বন্ধু-বান্ধব আছে এমন কথা বলা। তাদের নামও বলতে পারে।
২০। রাতের বেলা বাইরে যেতে চাওয়া এবং ঘরে ফিরতে অপছন্দ করা – যদিও বাহ্যিকভাবে এর কোনো কারণ নেই।
২১। আযান শুনলে ভয় পাওয়া
লক্ষন দেখে আপনার যদি মনেহয় আপনার বাচ্চার সমস্যা আছে নিজেরা প্রাথমিকভাবে রুকইয়াহ হিসেবে ডিটক্স করাতে পারেন বাচ্চাকে।
ডিটক্সের পর প্রতিদিন বাচ্চাকে পাশে বসিয়ে এখানকার দুয়াগুলো এবং সুরা ফালাক-নাস পড়ে ফু দিবেন তিনবেলা ১০-১৫ মিনিট করে পড়তে পারেন। আর এগুলো আরেকবার পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করাতে পারেন। তবে বাথরুমে বসে এসব দোয়া/আয়াত পড়বেন না। পানি বাইরে এনে পড়বেন।
আর অভিভাবকদের উচিত নিজেদের আমল-আখলাখের দিকে নজর দেয়া। ঘরের পরিবেশ ঠিক করা। ইংশাআল্লাহ সমস্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে। আর যদি না কমে তাহলে খোজখবর করে রাক্বির কাছে যেতে পারেন। বাচ্চার সাথে বাচ্চার বাবা-মা অবশ্যই যেন যায়।
বাচ্চাদের রুকইয়াহ করা এমনিতেই কঠিন। তারা প্রকৃতিগতভাবেই দুষ্টু এবং অস্থির। কাজেই অভিজ্ঞ রাক্বীর স্মরণাপন্ন হওয়াই যুক্তিযুক্ত।
No comments:
Post a Comment